লক্ষ্মীপুরের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ।
দীর্ঘ ২০ বছর পর লক্ষ্মীপুরে বন্যা হচ্ছে। তখন ফেনীতে বন্যা হওয়ার এক সপ্তাহ পর লক্ষ্মীপুর প্লাবিত হয়েছিলো। বর্তমান পরিস্থিতি ২০০৪ সালের বন্যার পুনরাবৃত্তি। বর্তমানে ফেনীতে ভয়াবহ বন্যা হওয়ার পর লক্ষ্মীপুরও প্লাবিত হচ্ছে। ফেনীর পানি নোয়াখালী হয়ে লক্ষ্মীপুরে প্রবেশ করতেছে। যার ফলে লক্ষ্মীপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
এবার আসি কোন কোন অঞ্চল বেশী প্লাবিত হচ্ছে এবং ত্রান সহায়তাকরীরা কোথায় কোথায় ফোকাস করা উচিৎ।
★★ লক্ষ্মীপুর সদর দক্ষিণ
লক্ষ্মীপুরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সদর দক্ষিণ অঞ্চল। চন্দ্রগঞ্জ, হাজিরপাড়া, মান্দারি, জকসিন, যাদিয়া, বাঙ্গাখা, লাহারকান্দি, যুগিরহাট, দিঘুলি, আমিন বাজারসহ এর আশেপাশের এলাকা।
কেন এই অঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত?
লক্ষ্মীপুরে মূলত পানি প্রবেশ করে দুটি খাল দিয়ে। ১. রহমত খালি খাল ২. চৌরাস্তা থেকে মেইন রোডের পাশ দিয়ে একটি খাল। এই দুই খালের মাঝের অঞ্চল মূলত বেশি প্লাবিত হচ্ছে। এর মাঝের অঞ্চল এবং আশেপাশের অঞ্চল মিলিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর দক্ষিণ। এখানে মানবিক বিপর্যয় হওয়ারও সম্ভাবনা আছে।
★★ লক্ষ্মীপুর চর অঞ্চল
লক্ষ্মীপুর চর অঞ্চল বিশেষ করে কমলনগর, রামগতি, চর পড়াগাছা,আলেক্সান্ডার, ভবানীগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকা। এখানে বন্যা নির্ভর করে মূলত মেঘনা নদীর জোয়ার ভাটার উপর। যেমন ধরেন নদীতে যখন জোয়ার থাকে তখন পানি বেড়ে প্লাবিত হয় আবার যখন ভাটা হয় তখন পানি নেমে যায়। তবে সেখানে কিছু এলাকা আছে যেখানে বিভিন্ন বাঁধের কারণে পানি জমা থেকে যাচ্ছে। সেখানেও একধরনের শঙ্কা কাজ করে।
এছাড়া লক্ষ্মীপুরের বাকি উপজেলা এবং অঞ্চল প্লাবিত হলেও এখনো মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে আমি অবগত না।
★★ ফেনী থেকে আসা পানি নদীতে নামতেছে। কিন্তু বৃষ্টি হলে উল্টো নদীর পানি ডুকতে শুরু করে, এতে করেই বন্যা ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করবে। আজ এবং আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে সুতরাং পানি আরো বাড়ার সম্ভাবনাতো আছেই পাশাপাশি ফেনী থেকে বন্যার পানির চাপের কারণে মানবিক বিপর্যয়ও হতে পারে।
★★ যারা ত্রাণ দিচ্ছেন তাদের জন্য কিছু পরামর্শ
বন্যাতে চর অঞ্চলে ক্ষতির কথা চিন্তা করে সবাই ঐ
দিকে চলে যায়। কিন্তু লক্ষ্মীপুরে বন্যার নির্দিষ্ট কারণ হচ্ছে ফেনী থেকে পানি আসা। এর ফলে প্রধান সড়কের আশেপাশের মানুষ এবং দুই খালের মাঝের অংশের লক্ষ্মীপুর সদর দক্ষিণের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করতে