بورنگ
اس پوسٹ کو یکسانیت اور حد سے زیادہ تکرار پر صارفین سے وسیع پیمانے پر رائے ملی ہے۔ বউ জামাইকে রিলস দেয়, জামাইও বউকে রিলস দেয়। বউ পাঠায় স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্বের ভিডিও, জামাই খুঁজে খুঁজে পাঠায় স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য।
কেউ কারোরটা দেখে না! বাচ্চার দিকে খেয়াল নেই তাদের কারো। বাচ্চাও সারাদিন মোবাইল দেখে — কখনো বাপেরটা, কখনওবা মায়েরটা। সে এখন মোবাইল না দিলে খায় না, মোবাইল না দিলে ঘুমায় না, মোবাইল না দিলে বাথরুমও করে না।
এভাবেই চলছে জামাই বউয়ের সংসার!
সাইকোলজির টিচার ক্লাসে ঢুকেই বললেন-
আজ পড়াবো না। সবাই খুব খুশি।টিচার ক্লাসের মাঝে গিয়ে একটা ব্রেঞ্চে বসলেন। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে, বেশ গল্পগুজব করার মতো একটা পরিবেশ।স্টুডেন্টদের মনেও পড়াশোনার কোনো প্রেসার নেই। টিচার খুব আন্তরিকতার সাথেই পাশের মেয়েটিকে বললেন -
জননী তোমার কি বিয়ে হয়েছে ?
মেয়েটা একটু লজ্জা পেয়ে বললো -হ্যাঁ স্যার। আমার একটা দুই বছরের ছেলেও আছে। টিচার চট করে দাঁড়ালেন।
খুব হাসি হাসি মুখ নিয়ে বললেন -
আমরা আজ আমাদের একজনের প্রিয় মানুষের নাম জানবো।
এই কথা বলে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললেন---
মা আজকে তুমিই টিচার, এই নাও চক্-ডাস্টার। যাও তোমার প্রিয় দশ জন মানুষের নাম লেখো।মেয়েটা বোর্ডে গিয়ে দশ জন মানুষের নাম লিখলো।
টিচার বললেন --
এরা কারা ? তাদের পরিচয় ডান পাশে লেখো। মেয়েটা তাদের পরিচয় লিখলো। সংসারে, পাশেও দু একজন বন্ধু, প্রতিবেশীর নামও আছে।
এবার টিচার বললেন ---
লিস্ট থেকে পাঁচ জনকে মুছে দাও।মেয়েটা তাঁর প্রতিবেশী আর ক্লাসমেটদের নাম মুছে দিলো। টিচার একটু মুচকি হেসে বললেন -
আরো তিন জনের নাম মোছো। মেয়েটা এবার একটু ভাবনায় পড়লো। ক্লাসের অন্য স্টুডেন্টরা এবার সিরিয়াসলি নিলো বিষয়টাকে।খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছেন মেয়েটার সাইকোলজি কিভাবে কাজ করছে। মেয়েটার হাত কাঁপছে, সে ধীরে ধীরে তাঁর বেস্ট ফ্রেণ্ডের নাম মুছলো। এবং বাবা আর মায়ের নামও মুছে দিলো। এখন মেয়েটা রীতিমতো কাঁদছে।যে মজা দিয়ে ক্লাস শুরু হয়েছিল, সে মজা আর নেই। ক্লাসের অন্যদের মধ্যেও টান টান উত্তেজনা। লিষ্টে আর বাকি আছে দুজন। মেয়েটার স্বামী আর সন্তান।টিচার্ এবারে বললেন আর একজনের নাম মোছো। কিন্তু মেয়েটা ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। কারোর নাম সে মুছতে পারছে না,
টিচার বললেন -
মা গো, এটা একটা খেলা।সাইকোলজি খেলা। জাস্ট প্রিয় মানুষেদের নাম মুছে দিতে বলেছি। মেরে ফেলতে তো বলিনি। মেয়েটা কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে তাঁর সন্তানের নাম মুছে দিলো।টিচার্ এবার মেয়েটার কাছে গেলেন, পকেট্ থেকে একটা গিফ্ট বের করে বললেন -
তোমার মনের উপর দিয়ে যে ঝড়টা গেলো তাঁর জন্যে আমি দুঃখিত। আর এই গিফ্ট বক্সে দশটা গিফ্ট আছে। তোমার সব প্রিয়জনদের জন্য।এবারে বলো কেন তুমি অন্য নাম গুলো মুছলে। মেয়েটা বললো -
প্রথমে বন্ধু আর প্রতিবেশীদের নাম মুছে দিলাম কারণ, তবুও আমার কাছে বেস্ট ফ্রেণ্ড আর পরিবারের সবাই রইলো। পরে যখন আরও তিনজনের নাম মুছতে বললেন, তখন বেস্ট ফ্রেণ্ড আর বাবা মায়ের নাম মুছে দিলাম
ভাবলাম বাবা মা তো আর চিরদিন থাকবে না। আমার বেস্ট ফ্রেণ্ড না থাকলে কি হয়েছে ? আমার কাছে আমার পুত্র আর তার বাবাই বেস্ট
ফ্রেণ্ড। কিন্তু সবার শেষে যখন এই দুজনের মধ্যে একজনকে মুছতে বললেন তখন আর সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না পরে ভেবে দেখলাম, ছেলে তো বড় হয়ে একদিন আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও যেতে পারে।কিন্তু ছেলের বাবা তো কোনো দিনও আমাকে ছেড়ে যাবে না।
সংগৃহীত
"এই বুয়ার নাম্বারে ফোন দাও তো।
দুইদিন পর পর তার এই না আসার সিনেমা তো ভাল্লাগে না!"
টিভি থেকে চোখ সরিয়ে জামাই জিজ্ঞেস করলো, আরেকটা বিয়ে করলে কিন্তু লাভ তোমার। এই দুই দিন পর পর বুয়া নাগাবাদা দেয়। দুইজনে মিলে মিশে কাজ করবা। গল্প করারও মানুষ পাবা। খারাপ হয় না কিন্তু।
- আমার বুয়ার কাজ তোমার বউরে দিয়ে করাবা?
জামাই এবার একটু এক্সাইটেড।
- রাগ হইলা না এবার কাহিনী কি??
আসলেই কি পারমিশন দিতেছো?
- ধর্মে তো আর আমার পারমিশনের কথা বলে নাই। বলছে সমানাধিকারের কথা। দুইজনকে একভাবে দেখার কথা। ওইটা পারবা তো? ব্রাজিল হারলে পরেরদিন আর্জেন্টিনার সাপোর্টার হয়ে যাও আর তুমি করবা সমঝোতা?
- আরে বউ আর ফুটবল এক নাকি! খুব পারবো। তিনদিন তোমার তিনদিন তার। মাঝের একদিন ফুটবলের।
- ইংলটের একটা আইলাইনারের প্রাইস জানো? এক বছর অপেক্ষা করি ৮০% অফের। তাও দাম ১২০০!! দুই বউয়ের পিছে বাজেট কত রাখবা?
দেশের যে অবস্থা যেই বাচ্চা আজকে জন্ম নিছে তার মাথাপিছু ঋণই তো ২৯ হাজার টাকা!!
জামাই এবার আর কথা বলে না।
- শেষ হয় নাই। আরো শুনো। আগে তোমার ৬০০ মি.লি শ্যাম্পু একলা ৩ মাসে শেষ করতে পারতা না, আর এখন ১০০০ মি.লি শ্যাম্পুতে আমাদের ২ মাসেই টানাটানি লাগে। এখন তুমি আরেকটা বউ আনলে এক মাসেই ২/৩ হাজার টাকা শ্যাম্পুতেই যাবে!
এবারো জামাই চুপ!!
এটাতো গেলো সাবান শ্যাম্পুর হিসাব।
এবার আসো মাছ, মাংসের হিসাবে। এখনকার মেয়েদের যে নখড়া! কেএফসি বিএফসি খাইতে খাইতে আড়াই হাতের জিহ্বা হয়ে গেছে!! আর মাছ বলতে এরা বুঝে ফিস ফ্রাই, গ্রিল ফিস। তোমার তো অর্ধেক স্যালারি শুধু মাছ, মাংসের পিছনেই যাবে। বাড়ি ভাড়া কেমনে দিবা?
জামাই একটু নড়েচড়ে বসে। কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে, নবীজিদের সময় বউরা দুইটা খোড়মা খেয়ে সারাদিন পার করতো। এখনকার মেয়েদের যত খাই খাই। অল্পে ভাত ডাল খেয়ে শান্তির ঘুম দিবা। এত এত রান্নার কষ্ট করার কি দরকার!!
- হুমম!! সৌদিতে খোড়মা গাছে গাছে ঝুইলে থাকে। ঢাকা শহরে খোড়মার কেজি জানো? আর নবী রাসূলদের তাও কোন দায়িত্ব নিয়ে পাঠাইছিল!! তুমি কোন দায়িত্বটা ঘাড়ে নিছো শুনি!
তখনকার বউদের আলাদা আলাদা ঘরে রাখা হইতো। তোমার তো আলাদা রুম দেওয়ার মতোও অবস্থা নাই।
তারপর তো আছে কসমেটিকস! এক চোখের পিছনেই শেড, লেন্স, ল্যাশ, আইলাইনার, কাজল, ব্রাশ, প্রাইমার নিয়েই তো ২/৩ হাজারের প্রোডাক্ট।আর সব বাদ দিলেও লিপস্টিকের শেইড ইতো ১০/২০ টা! তার উপর দুই বছর পর এক্সপাইরি ডেট চলে আসে। দুই বউয়ের থেকে পাবা চার শ্বশুর শ্বাশুড়ি। এদের আপ্যায়ন। মাসে দুইবার দুই শ্বশুর বাড়ি গেলে পাঁচ পাঁচ দশ কেজি মিষ্টি। ঈদে দুই শ্বশুর বাড়ির গাদাগাদি শালা শালিদের সালামি। এরপর তো বাচ্চা হবে, বাচ্চার ডায়পার, দুধ। তারপর স্কুলে যাবে। বই খাতা, টিফিন, বেতন, টিচার এগুলা করতে করতে তো বাপ দাদার ভিটামাটি সব বেইচা ফেলবা!!
তারপর ঝগড়াঝাঁটি হবে, কথা কাটাকাটি হবে, চুলাচুলি হবে এক পর্যায় প্লেট, গ্লাস ভাঙ্গাভাঙ্গি হবে..........
- থামো! থামো! থামো। মাফ চাই। বুয়ার নাম্বারটা দাও আমি চেষ্টা করে দেখি। লাগলে বুয়ারে বাসা থেকে উঠায়ে নিয়ে আসবো।
- হুহহহ! একটু আগে এটা বললেই হইতো। 🥱
(লেখক এর নাম জানা থাকলে জানাবেন প্লিজ)
একদিন মিম তার রুমের ভিতর বসে ছিল। তার পরনে সেদিন ও 'ড় 'না ছিল না। গরমের দিন, সামান্য আরাম খুঁজে নিচ্ছিল সে নিজের মতো করে। হালকা ঘরের পোশাকে আয়নার সামনে বসে চুল আচড়াচ্ছিল।
হঠাৎ করে তার ভাই মাহিম রুমে ঢুকে পড়ে। মিম, আমার চার্জারটা দেখেছিস? বলতে বলতে সে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে যায়।
মিম চ 'ম 'কে উঠে। তড়িঘড়ি করে পাশের চাদরটা টেনে গায়ে দেয়। মাহিম থেমে যায়। চোখ ফিরিয়ে নেয়, কিন্তু তার ভেতরে কোথাও যেন একটা অ 'স্থি 'র 'তা সৃষ্টি হয়।
রুম থেকে বের হয়ে মাহিম নিজেকে দো 'ষী ভাবতে থাকে। আমি তো ওর ভাই! তাহলে আমার ভেতরে এমন অ 'নু 'ভূ 'তি কেন আসছে?
সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে। মনে মনে বলে, আমার দৃষ্টিই যদি এমন হয়, তাহলে বাইরের মানুষদের চোখ কী হবে?
সে বুঝতে পারে, এই অনু 'ভূ 'তি 'র জ 'ন্ম পরিস্থিতি থেকে, যেটা সে নিজেও চায়নি। পা 'প শুধু চোখের না, পরিস্থিতিরও।
সেই সন্ধ্যায় মাহিম তার বোন মিমকে ডেকে খুব আদর করে বলে, তুই তো আমার ছোট বোন। কিন্তু আজ একটা কথা বলতেই হবে... নিজের ঘর, নিজের ভাই, সব ঠিকআছে। কিন্তু প 'র্দা শুধু বাইরের লোকদের জন্য নয়। ইসলামে পরিবারের সামনেও প 'র্দা 'র গুরুত্ব রয়েছে।
মিম মাথা নিচু করে চুপ থাকে। কিছুক্ষণ পর শান্ত গলায় বলে- ভাইয়া, আমি বুঝতে পারিনি। আজ থেকে আমি নিজের সম্মান আগলে রাখব।
সত্যি বলতে, চোখের প 'র্দা না থাকলে র /ক্তে /র সম্পর্কও ন 'ড় 'ব 'ড়ে হয়ে যেতে পারে। নারীর প 'র্দা শুধু শ 'রী 'র ঢাকার জন্য নয়, সম্মান, সম্পর্ক আর চিন্তার বি 'শু 'দ্ধ 'তার জন্যও জরুরি। এবং পুরুষের চোখেও প 'র্দা জরুরি। কারণ নীতি হা 'রা 'লে, সম্পর্ক টেকে না।