Loading Logo

Loading..

5 d ·Translate

খাদ্য গ্রহন ও পোশাক পরিধান করতে প্রজ্ঞা বা জ্ঞানের প্রয়োগ
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাদ্য গ্রহন ও পোশাক পরিধান করার সময় যদি প্রজ্ঞা বা জ্ঞানের প্রয়োগ করতে পারি তাহলে অশালিনতা পরিহার করে আমাদের জীবনকে অনেক প্রগতিশীল করে তুলতে পাবরো। যখন আমরা প্রজ্ঞা বা জ্ঞানের সাথে আমাদের খাদ্য গ্রহন করা, পোশাক পরা ইত্যাদি কার্য সম্পাদন করি, তখন আমরা নিজেকে এই প্রশ্ন করতে পারি যে, আমার এই খাদ্য ও পোশাক কিভাবে অর্জন করেছি? কুশল পথে নাকি অকুশল পথে অর্জন করেছি। যদি কুশল পথে অর্জিত খাদ্য ও বস্ত্র হয় তাহলে সে খাদ্য গ্রহন করতে অত্যন্ত সুখানুভব অনুভূতি উৎপন্ন হবে। আর যদি অকুশল উপায়ে অর্জিত হয় তাহলে অর্ন্তদগ্ধ উৎপন্ন হবে, তখন ভোগ করেও সুখানুভব লাভ করা সম্ভব হবে না। তখন আপনাআপনি অকুশলকে বর্জনের মনোভাব চিত্তে উৎপন্ন হবে, তখন সৎ জীবন যাপন করা অভিপ্রায় জাগ্রত হবে। অনেক মানুষ আছেন যারা অর্থ আর প্রতিপত্তি লোভে মনুষত্ববোধ হারিয়ে ফেলেছে। তাই প্রজ্ঞা বা জ্ঞানের বিবেচনা বোধটুকুও লোপ পেয়ে নিজের পকেটের কথা চিন্তা করে, সুখের কথা চিস্তা করে, নিজের বাঁচার কথা চিন্তা করে, নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে থাকে। শুধু নামেই রক্তে মাংসের গড় মানুষ হিসেবে এ পৃথিবীতে বেঁচে আছে। কিন্তু হুঁসটুকু সেই মানুষের মাঝে আর নেই। যদি প্রজ্ঞা বা জ্ঞানের বিবচেনা করে তাহলে সে মিথ্যা চলচাতুরী মাধ্যমে অর্থ উর্পাজন পরিহার পূর্বক সততার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে জীবস জীবিকা করতে উৎসাহিত হবে। তাই বলা হয়েছে সততাই উৎকৃষ্ট পন্থা।

৫। অর্থ ধার দেওয়া ও নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের সাথে তুলনা করুন :
মানুষ সামাজিক জীব। তাই একে অপরের বিপদ-আপদের এগিয়ে আসা সকলে দায়িত্ব ও কর্তব্য। সমাজে বসবাস করতে হলে জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষের বিপদে-আপদে, সময়ে-অসময়ে ধার দেওয়া-নেওয়ার স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এমন কতগুলো ব্যক্তি আছেন ধার নিলে আর ফেরত দেয় না। রবং উল্টো ধার দেওয়া ব্যক্তির সাথে খারাপ আচরণ করে থাকে। ফলে বন্ধুত্বের সুস¤পর্ক আর বজায় থাকে না। তখন মানুষ আপদে-বিপদে ধার দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। তখন সমাজে সৌহার্দপূর্ন মনোভাব আর বাজায় থাকে না। তাই আমরা যদি অর্থ ধার দেওয়া ও নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের সাথে তুলনা করতে পারি তাহলে এই উপলদ্ধি আসবে যে, আমি বিপদের সময় ধার নিয়েছি, বিপদ আমার কেটে গেছে, সেই বিপদের মুর্হুতে পাওয়া ধার নেওয়ার অর্থগুলো অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। ধার দেওয়ার অর্থ যেমন ফেরত না পেলে নিজের দুঃখ লাগে তেমনি অন্যও তার ধার দেওয়ার অর্থ ফেরত না পেলে দুঃখিত হন। এরুপভাবে নিজের সাথে তুলনা করতে পারলেই তখন এমনিতে বিবেক তাড়িত হয়ে সততা মনোভাব উৎপন্ন হয়ে আপনার ধার নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার চেতনা জাগ্রত হবে। ফলে বন্ধুত্বের সুসম্পর্কটুকু বজায় থাকবে। সমাজে সৌহার্দপূর্ন পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
বৌদ্ধ সাহিত্যে দেখা যায়, ধনঞ্জয় শ্রেষ্ঠী বিবাহের সময় তার কিন্যা মহাউপাসিকা বিশাখাকে দশটি উপদেশ দিয়েছিলেন। সেই দশটি উপদেশের মধ্যে বলা হয় হয়েছে, “যে দেয় তাকে দিবে, যে দেয় না তাকে দিবে না আবার যে দেয় না তাকেও দেবে”। এখন প্রশ্ন হলো কাকে দিতে বলেছেন আর কাকে দিতে নিষেধ করেছেন এবং কাকে দিতে না পারলেও দিতে বলেছেন? যে ব্যক্তি ধার নিয়ে ফেরত দেয় তাকে ধার দিতে বলেছেন আর যে ব্যক্তি ধার নিয়ে সামর্থ্য থাকার সত্ত্বেও ফেরত দেয় না তাকে ধার দিতে নিষেধ করেছেন। আর যে ব্যক্তি আপনার নিকটতম আত্মীয় যারা ধার নিয়ে ফেরত দিতে পারেনা বা ফেরত দেয়ার সার্মথ্য নেই, সে ব্যক্তি ধার নিয়ে ফেরত দিতে না পারলেও তাকে ধার দিতে বলেছেন।

image