faruk77
আহা্ নন্দিনী এরকম বাচ্চাদের মতো জেদ করতে নেই। বয়সটা বেড়েছে তো নাকি।
দিনে দিনে তুমি এমন বায়না করলে কি করে হবে বলোতো। শরীরের খেয়াল রাখতে
হবে তো নাকি।
অনিন্দ্য বাবু নিজের স্ত্রী নন্দিনী দেবীকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বোঝাচ্ছেন তখন
থেকেই। কিন্তু নন্দিনী দেবীকে কিছুতেই বোঝানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আজ বৃষ্টিতে
ভিজবেনই জেদ ধরে বসে আছেন। ওনাকে আটকানোর অসম্ভব প্রয়াস করে চলেছেন অনিন্দ্য
বাবু।
প্রায় ষাট বছর আগে প্রেম থেকে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিলেন তারা। তারপর
একে অপরের হাতে হাত রেখে এগিয়ে এসেছেন এতগুলো বছর। মাথার চুলে পাক ধরেছে,
গাল বেঁকেছে, শরীরের চামড়া ঝুলেছে কিন্তু বৃদ্ধ হতে পারেনি ওনাদের ভালোবাসা।
এখনও বৃষ্টিতে ভিজতে ভীষণ ভালোবাসেন নন্দিনী দেবী। আর এখনও ভীষণ জ্বর এসে
যাওয়ার ভয়ে অনিন্দ্য বাবু একদম বকেন আগের মতো। মন কষাকষি আজও চলে ওনাদের।
এখনও একই ভালোবাসা একই ভাবে চিন্তা দুজন দুজনের জন্য।
নন্দিনী দেবী- আমিতো ভিজবো একটুখানি এতে কি হবে শুনি!
অনিন্দ্য বাবু- এরকম করতে নেই নন্দিনী তোমার ঠান্ডার ধাত আছে শরীর
খারাপ করবে, তুমি শোনো একটু আমার কথা।
আরো পড়ুন,
ভালোবাসার সেরা গল্প
নন্দিনী দেবী- আমার কিছু হবে না, তুমি তো আছোই। তুমি থাকতে কি হবে শুনি।।
অনিন্দ্য বাবু- বুড়ো বয়েসে ও তোমার স্বভাব গেল না
নন্দিনী। ঠিক কথার জালে আমাকে ফাঁসাবে, আর নিজে জিতবেই। আমি কিন্তু আর ছাতা
নিয়ে দৌড়তে পারব না তোমার পেছন পেছন।।
নন্দিনী দেবী- একগাল দুষ্টমি ভরা হাসি নিয়ে,,
বুড়ো হয়েছ এতদিন স্বীকার করলে বুঝি! তুমি বসে থাকো আমি বরং ভিজে আসি।।
অনিন্দ্য বাবু- শোনো নন্দিনী এখনও বুড়ো হয়নি। আজও তোমায় আগের মতো ভীষণ
ভালোবাসি।
নন্দিনী দেবী- উফফ! থামো দেখি! লোকে শুনলে কি বলবে বলো
দেখি!!
অনিন্দ্য বাবু- লোকে শুনলে শুনুক, আমার বৌ কে জনসম্মুখে ভালোবাসি বললো
তাতে কার কী আপত্তি।
আজ ও নন্দিনী দেবীর মুখটা লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো। দৌড়ে বেরিয়ে
গেলেন তিনি বৃষ্টিতে ভিজার উদ্দেশ্যে।
পেছনে থেকে অনিন্দ্য বাবু ছাতা নিয়ে দৌড়ে চললেন এবং বলতে লাগলেন
আগের মতো করেই “নন্দিনী অল্প ভেজো শরীর খারাপ হলে খুব বোকবো বলে দিচ্ছি।
”
হ্যাঁ ভালোবাসার কোন বয়স নেই। নেই কোনও পরিধি।। এ
এক স্বাদ যা গ্রহণ করতে লাগে কেবল দুটি ভিন্ন মানুষ কিন্তু একটি আত্মার
সন্তুষ্টি
无聊
该帖子因内容单调且重复过多,已收到大量用户反馈。
MD Miraj
删除评论
您确定要删除此评论吗?
Md Alamin
删除评论
您确定要删除此评论吗?